রবীন্দ্রনাথ

1. রবীন্দ্রনাথ ‘সনাতন ঘুম’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সংস্কার মানতেন না। নৈবেদ্য’ কাব্যে অন্ধ সংস্কারকে তিনি মরুর ঝড়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কেননা, সংস্কার প্রতিনিয়ত জায়গা বদল করে। “কর্তার ভূত’ গল্পে ‘সনাতন ঘুম’ বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরিবর্তনহীন, অন্ধ সংস্কারের ঘুমকে চিহ্নিত করেছেন।

2. ‘কর্তার ভূত’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘কর্তার ভূত’ গল্পে যিনি ক্ষমতার শীর্ষে বা সর্বেসর্বা তাঁর প্রতি অন্ধ আনুগত্যকে ‘কর্তার ভূত’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই দেশের মানুষের বিশ্বাস কর্তার মৃত্যুর পরেও তিনি ভূত হয়ে থাকবেন।

3. মাথা না থাকার ফলে ভূতেরা কী সুরি পায়?
উত্তর: মাথা না থাকার ফলে ভূতেদের কারো জন্যে কোনো রকম মাথাব্যথা অর্থাৎ কর্তব্য করার দায়দায়িত্ব, কতর্ব্য-ভাবনাচিন্তা থাকে না গল্পকার এই মন্তব্য করেছেন।

6. অদৃষ্টের চালে চলার মাধ্যমে ভূতগ্রস্ত দেশ কী অনুভব করে?
উত্তর: অনুষ্টের চালে চলার মধ্য দিয়ে ভূতগ্রস্ত দেশ আপন আদিম আভিজাত্য অনুভব করে।

৪. মরণকালে বুড়ো কর্তার দুঃখ হলো কেন?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘কর্তর ভূত’ গল্পে বুড়ো কর্তার মরার সময় হয়েছে। দেশের সবাই বুড়োকে জানাল যে, বুড়ো মারা গেলে তাদের কী দশা হবে। এ কথা শুনেই বুড়ো কর্তার বড়ো দুঃখ হলো।

9. সৃষ্টির প্রথম চক্ষুহীন কীটাণুৱা কীভাবে চলত?
উত্তর: সৃষ্টির প্রথম চক্ষুহীন কীটাণুরা নিয়তির অমোঘ বিধানে অদৃষ্টের চালে চলত।

10. “তুমি গেলে আমাদের কী দশা হবে।”-কে, কাকে, কখন এ প্রশ্ন করেছিল?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কর্তার ভূত’ গল্পের ভূতগ্রস্ত দেশের লোক বুড়োকর্তার মরণকালে, বুড়োকর্তাকেই উদ্ধৃত প্রশ্নটি করেছিল।

11. ভূতের কানমলার খাওয়ার সমস্যা উল্লেখ করো।
উত্তর: ভূতের কানমলা খাওয়ার সমস্যা হল ভূতের থেকে পালানো যায় না, সেই কানমলা ছাড়ানো যায় না, এমনকি তার বিরুদ্ধে নালিশ বা বিচারও চলে না।

12.’কর্তার ভূত’ রচনায় কাকে অমর বলা হয়েছে?
উত্তর: “কর্তার ভূত’ রচনায় ভূতকে অমর বলা হয়েছে।

13. “এড়াবার জো নেই।” কোন ব্যাপারে কথাটি বলা হয়েছে?
উত্তর: জীবিত মানুষের মৃত্যু অবধারিত, তাকে এড়ানো যায় না—জীবিত বুড়োকর্তার সেই আসন্ন অবধারিত মৃত্যুর প্রসঙ্গে কথাটি বলা হয়েছে।

15. “বেরোবার মধ্যে বেরিয়ে যায়…।” গল্পকার কী বেরোনোর কথা বলেছেন?
উত্তর: কর্তার ভূত’ গল্প অনুসারে উদ্ধৃত বাক্যে গল্পকার মানুষের তেজ বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।

16. আজও কাদের চলায় অদৃষ্টের চালে চলার আভাস প্রচলিত আছে ?
উত্তর: আজও গাছ ও ঘাসের চলার মধ্যে অনুষ্ঠের চাপে চলার আভাস প্রচলিত আছে।

18. রবীন্দ্রনাথ ‘সনাতন’ ঘুম বলতে কি বুঝিয়েছেন?
উত্তর: পরিবর্তনহীন, অন্ধ সংস্কারের ঘুম কে বুঝিয়েছেন।

19. এমন প্রশ্ন কার জন্মেও শোনা যায়নি?
উত্তর: এমন প্রশ্ন বাপের জন্মেও শোনা যায়নি।

20. দেশটাকে সে নাড়েও না, অথচ ছাড়াও না।”-‘সে’ কে?
উত্তর: বুড়ো কর্তা।

21. “একমাত্র বর্গীরাই দোষ”-‘দোষটি’ কী?
উত্তর: বর্গির আশা।

22. বুলবুলিরা কিসের ভয় হুঁশিয়ার দের কাছে ঘেঁষে না?
উত্তর: প্রায়শ্চিত্তের ভয়ে।

25. ভুতের দেশে ওঝা ঢাকার চিন্তাই নেই,- কারণ কি?
উত্তর: কারণ এখানে ওঝা কে আগেভাগে ভূতে পেয়ে বসে আছে।

26. “দেশের লোক ভারি চিন্তিত হল।”- কারণ কি?
উত্তর: দেবতার দয়ায় বড় কর্তা ভূত হয়ে তাদের ঘাড়ে চাপলেন।

27. “যেমন করে পারি ভূত ছাড়াবো।”-উক্তিটি কার?
উত্তর: অর্বাচীনরা।

29.”সেইখানে তো ভূত”- ভুতের অবস্থান কোথায়?
উত্তর: ভয়ের মধ্যে।

30. কর্তার ভূত’ গল্পটির রচয়িতা কে?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

31. “অত্যন্ত সান্ত্বনা বোধ করল।”-কাদের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: এখানে ভূতের রাজ্যে, ভূতের শাসনে কোনো প্রশ্ন না-করে অনুষ্টের চালে চলা সমস্ত লোকদের কথা বলা হয়েছে।

32. “উদাসীন থেকো “- কাদের প্রতি, কোন বিষয়ে, কারা উদাসীন থাকতে বলেছেন?
উত্তর: ভূতগ্রস্ত দেশের অশুচি-হুঁশিয়ারদের আত্মসচেতন মানসিকতা ও যুক্তিবাদী ভাবনার প্রসঙ্গে শিরোমণি চূড়ামণিরা দেশের বাকি লোকদের উদাসীন থাকতে বলেছেন।

34. পুথি খুলে শিরোমণি-চূড়ামণির দল কাদেরকে পবিত্র বলে উল্লেখ করেন?
উত্তর: পুথি খুলে শিরোমণি-চূড়ামণির দল ‘বেহুঁশ’ লোকদের পবিত্র বলে উল্লেখ করেন।

35. “এমন হল কেন।”—এই প্রশ্নের উত্তরে শিরোমণি চূড়ামণিরা কী সিদ্ধান্ত পোষণ করল?
উত্তর: উক্ত প্রশ্নের উত্তরে শিরোমণি-চূড়ামণিরা সিদ্ধান্ত পোষণ করল যে, বিষয়টিতে একমাত্র বর্গিরই দোষ।

36. এতকাল নানা জাতের বুলবুলি কোথা থেকে এসেছে?
উত্তর: এতকাল নানা জাতের বুলবুলি উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম চারদিক থেকে এসেছে।

38. ‘খোকা ঘুমোলো পাড়া জুড়োলো অবস্থাটি কাদের পক্ষে আরামের?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কর্তার ভূত’ গল্প অনুসারে ‘খোকা ঘুমোলো পাড়া জুড়োলো অবস্থাটি খোকা, খোকার অভিভাবকের ও পাড়ার পক্ষে আরামের।

39. অভূতের পেয়াদারা কোথায়, কেন ঘোরাঘুরি করে?
উত্তর: অভূতের পেয়াদারা ভূতগ্রস্ত দেশের লোকদেরকে বাস্তব সম্পর্কে সচেতন করার উদ্দেশ্যে সদরের রাস্তাঘাটে ঘোরাঘুরি করে।

40. খিড়কির আনাচেকানাচে কারা, কেন ঘোরাঘুরি করে?
উত্তর: ভূতগ্রস্ত দেশের বিরুদ্ধে কেউ গোপন ষড়যন্ত্র করছে কি না, তা জানতে খিড়কির আনাচেকানাচে ভূতের পেয়াদারা ঘোরাঘুরি করে।

41. মাথা না থাকার ফলে ভূতরা কী সুবিধা পায়?
উত্তর: মাথা না থাকার ফলে ভূতদের সুবিধা হয় এই যে, কারো জন্য কোনোরকম মাথাব্যথা অর্থাৎ কর্তব্য করার দায়দায়িত্ব, ভাবনাচিন্তা থাকে না।

42. মানুষের তেজ বেরিয়ে যাওয়ার ফলে ভূতগ্রস্ত দেশে আর কী থাকে?
উত্তর: মানুষের তেজ বেরিয়ে যাওয়ার ফলে ভূতগ্রস্ত দেশে অন্ন, বস্ত্র, স্বাস্থ্য না থাকলেও, অনাবিল নির্বক্কটি শান্তি থাকে।

43. “সেই জেলখানার দেয়াল চোখে দেখা যায় না।”-গল্পে উল্লিখিত জেলখানার অবস্থান কোথায়?
উত্তর: গল্পে উল্লিখিত জেলখানার অবস্থান ভূতগ্রস্ত দেশে।

44. “দেশের লোক ভারি নিশ্চিন্ত হল”-কোন্ ঘটনায় দেশের লোক নিশ্চিন্ত হল?
উত্তর: দেবতার করে দেওয়া বন্দোবস্ত অনুযায়ী, বুড়োকর্তা ভূত হয়েই দেশবাসীর ঘাড়ে চেপে থেকে যাবেন এবং তাঁর আর মরণ হবে না-এটা জেনে দেশের লোক নিশ্চিন্ত হল।

45. কোন্ কথা শুনে ভূতগ্রস্ত দেশ আদিম আভিজাত্য অনুভব করে?
উত্তর: চোখ বুজে চলাই যে আদিম চলা, সেভাবেই যে সৃষ্টির প্রথম চক্ষুহীন কীটাণুরা চলত, এমনকি বর্তমানে ঘাস ও গাছের মধ্যে যে সে-ই চলাই প্রচলিত—এই কথা শুনেই ভূতগ্রস্ত দেশ আদিম আভিজাত্য অনুভব করে।

46. “এখানে সে চিন্তাই নেই।”-চিন্তা না-থাকার কারণ কী?
উত্তর: গল্পানুসারে ভূতগ্রস্ত দেশের ওঝাকেই যেহেতু ভূতে পেয়েছে, সেহেতু ভূত তাড়ানোর জন্য এখানে কোনোরকম ওঝা খোঁজার চিন্তা হয় না।

47. “ভূতকে মানলে কোনো ভাবনাই নেই”-গল্পকারের এই মন্তব্যের কারণ কী?
উত্তর: ভূতকে মানলে দেশবাসীর সব ভাবনা ভূতকেই ভাবতে হয়। দেশবাসীর কোনো দায়দায়িত্ব, কর্তব্য-ভাবনা-চিন্তা থাকে না। আবার, ভূতের মাথা নেই। তাই আক্ষরিক অর্থে সে ভাবনা-চিন্তা করতেও পারবে না। এই কারণেই উক্ত মন্তব্যটি করা হয়েছে।

48. ভূতগ্রস্ত দেশের জেলখানায় ঘোরানো ঘানির পরিণতি কী?
উত্তর: ভূতগ্রস্ত দেশের জেলখানায় যে-ঘানি নিরন্তর ঘোরানো হয়, তার পরিণতি অতি ভয়ানক। কারণ, তার থেকে হাটে বিক্রি করার মতো সামান্যতম তেলও বেরোয় না, শুধুমাত্র মানুষের সমস্ত তেজ বা শক্তি-সামর্থ্য বেরিয়ে যায়।

49. “দেশের তত্ত্বজ্ঞানীরা বলেন”-তত্ত্বজ্ঞানীরা কী বলেন?
উত্তর: দেশের তত্ত্বজ্ঞানীরা বলেন—চোখ বুজে চলাই জগতের সবচেয়ে আদিম চলা, যাকে অদৃষ্টের চালে চলা বলা হয়।

50. কারা ভূতের রাজ্যের শান্তিতে ব্যাঘাত ঘটায়?
উত্তর: ভূতের রাজ্যের শাস্তিতে ব্যাঘাত ঘটায় পৃথিবীর অন্য সব ভূতে না-পাওয়া দেশ থেকে আসা জাতির মনে সাহস সঞ্চারকারী বর্গিরা।

51. “শ্মশান থেকে মশান থেকে ঝোড়ো হাওয়ায় হা হা করে তার উত্তর আসে।’ কোন প্রশ্নের উত্তর আসে?
উত্তর: খাজনা দেব কীসে শ্মশান-মশান থেকে ঝোড়ো হাওয়ার মধ্য দিয়ে এই প্রশ্নের উত্তর আসে।

52. “এমন হল কেন?”-কাকে এই প্রশ্নটি করা হয়েছে?
উত্তর: ভূতগ্রস্ত দেশের যত শিরোমণি ও চূড়ামণি আছে তাঁদেরকে এই প্রশ্নটি করা হয়েছে।

53. দিব্যি ঠান্ডায় ভূতের রাজ্যজুড়ে কী অবস্থা?
উত্তর: দিব্যি ঠান্ডায় ভূতের রাজ্যজুড়ে সমস্যা-বিবর্জিত ‘খোকা ঘুমোলো পাড়া জুড়োলো অবস্থা।

54. “তারা একবাক্যে শিখা নেড়ে বলল”-একবাক্যে শিখা নাড়িয়ে কারা, কী বলল?
উত্তর: দেশের শিরোমণি-চূড়ামণিরা শিখা নাড়িয়ে বলল বর্গির আসার বিষয়ে ভূতের বা ভূতুড়ে দেশের কারোর দোষ নেই-দোষ কেবলমাত্র বর্গির।

56. “তারা ভয়ংকর সজাগ থাকে তারা কারা?
উত্তর: এই উক্তিটিতে ‘তারা’ হল ভূতে না-পাওয়া অন্য সব দেশগুলির মানুষ।

57. নইলে ছন্দ মেলে না” ছন্দ মেলাতে কোন পক্তির উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর: ছন্দ মেলানোর জন্য ‘খোকা ঘুমোলো পাড়া জুড়োলো পদের সঙ্গে ‘বর্গি এল দেশে পক্তির উল্লেখ করা হয়েছে।

58. ভূতের রাজ্যজুড়ে খোকা ঘুমোনোর ফলে কী হয়?
উত্তর: ভূতের রাজ্যজুড়ে খোকা ঘুমোনোর ফলে খোকা ও তার অভিভাবক, এমনকি পাড়া তথা রাজ্য পরম শান্তিতে থাকে।

59. “কর্তা, এখনো কি ছাড়বার সময় হয়নি ?” – কারা, কখন এ কথা বলে?
উত্তর: নায়েবের ভয়ে ভীত দেশের কিছু মানুষ হাতজোড় করে, গভীর রাত্রে এ কথা বলে।

60. ‘কর্তার ভূত’ গল্পে সনাতন ঘুমের আর কোন বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লিখিত?
উত্তর: ‘কর্তার ভূত’ গল্পে সনাতন ঘুমের বৈশিষ্ট্য হল- এটি আদিমতম ও প্রাচীনতম।

61. দেশের খোকা নিস্তব্ধ হয়ে কী করে?
উত্তর: দেশের খোকা নিস্তব্ধ হয়ে পাশ ফিরে শোয়।

62. “যেমন করে পারি ভূত ছাড়াব।”—কথাটি কারা, কেন বলে?
উত্তর: আলোচ্য কথাটি নবচেতনায় উদ্বুদ্ধ, নতুনের আবাহনে দীপ্ত সচেতন উদ্ধৃত অর্বাচীনরা বলে। কারণ, তারা ভূতগ্রস্ত সমাজের অন্ধ কুসংস্কারকে নির্মূল করতে চায়।

63. “এ প্রশ্নকে ঠেকানো যায় না।”-কোন প্রশ্নকে, কেন ঠেকানো অসাধ্য?
উত্তর: যুক্তিবাদী মানুষরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গতিশাল থাকে। তারা অবস্থার পরিবর্তন চান ও স্থবিরতার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলেন বলেই অনিবার্যভাবে আসা ‘খাজনা দেব কীসে?’ প্রশ্নকে ঠেকানো অসাধ্য হয়।

64. বুড়োকর্তার মনে দুঃখ হওয়ায় সে কী ভেবেছিল?
উত্তর: বুড়োকর্তার মনে দুঃখ হওয়ায় সে ভেবেছিল, সে মারা গেলে দেশবাসীদেরকে ঠান্ডা করে রাখার কেউ থাকবে না।

65. ভূতের নায়েব চোখ পাকিয়ে কী বলে?
উত্তর: ভূতের নায়েব চোখ পাকিয়ে ভূতগ্রস্ত দেশের শাশ্বত স্থায়িত্ব সম্পর্কে ভয় দেখিয়ে বলে—“এখনও ঘানি অচল হয়নি”, অর্থাৎ, যুক্তিহীন সংস্কার অক্ষত রয়েছে।

66. “খাজনা দেব কিসে?”— এই প্রশ্নের উত্তরে কী শোনা যায়?
উত্তর: উক্ত প্রশ্নের উত্তরে শোনা যায়-আব্রু-ইজ্জত, ইমান ও বুকের রক্ত দিয়ে খাজনা দিতে হবে।

67. “এখনো কি ছাড়বার সময় হয়নি।”-কে, কখন এই প্রশ্ন করেছিল?
উত্তর: প্রশ্নটি ভূতগ্রস্ত সমাজের দুটো-একটা মানুষ গভীর রাড়ে করেছিল।

68. “কী সর্বনাশ।”—কথাটি কারা, কীভাবে বলে?
উত্তর: কথাটি ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি আর মাসতুতো-পিসতুতোর দল কানে হাত দিয়ে বলে।

69. “শুনে তারও মনে দুঃখ হল।”-কার মনে, কখন দুঃখ হয়েছিল?
উত্তর: বুড়োকর্তার মনে তার মৃত্যুকালে দুঃখ হয়েছিল।

70. “ভয় করে যে কর্তা।”—কথাটি কারা, কাকে বলেছিল?
উত্তর: কথাটি ভূতগ্রস্ত দেশের দুটো-একটা মানুষ বুড়োকর্তার ভূতকে বলেছিল।

71. “তা বলে মরণ তো এড়াবার জো নেই।”-মৃত্যুর এই অনিবার্যতায় কে, কী সিদ্ধান্ত করলেন?
উত্তর: মৃত্যুর এই অনিবার্যতায় স্বয়ং দেবতা সিদ্ধান্ত করলেন যে ভূত হয়েই দেশবাসীর ঘাড়ে চেপে থাকবেন কারণ মানুষ মরলেও ভূতের মৃত্যু নেই।

72. বুড়োকর্তার মরণকালে কারা, কী বলল?
উত্তর: বুড়োকর্তার মরণকালে দেশসুদ্ধ সব লোক বলল যে সে মারা গেলে তাদের কী দশা হবে।

73. “মানুষের মৃত্যু আছে, ভূতের তো মৃত্যু নেই।” -বক্তা কে?
উত্তর: দেবতা।

74. কাকে মানলে সর্বদাই ভাবনা থাকে?
উত্তর: ভবিষ্যৎকে।

75. “তুমি গেলে আমাদের কী দশা হবে।”—’তুমি’ কে?
উত্তর: বুড়োকর্তা।

76. “ভাবনা কী?”- কথাটি কার?
উত্তর: দেবতার।

77. “আমি গেলে এদের ঠাণ্ডা রাখবে কে?”—’এদের’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: দেশসুদ্ধ লোকের।

78. যারা স্বভাবদোষে ভাবতে যায়, তাদের বিরুদ্ধে কী চলে না?
উত্তর: নালিশ।

79. ভূতগ্রস্ত দেশের লোক কীভাবে চলে?
উত্তর: চোখ বুজে।

80. “তাতে অত্যন্ত আনন্দ পায়। কে বা কারা আনন্দ পায়?
উত্তর: ভূত গ্রস্থ দেশ।

81. ‘কর্তার ভূত’ রচনায় চোখে কী দেখা যায় না?
উত্তর: ভুতুড়ে জেলখানার দেয়াল।

82. ঘর থেকে গেরস্তের বেরোবার কী নেই?
উত্তর: পথ।

83. “মানুষ সেখানে একেবারে জুড়িয়ে যায়নি।”—’সেখানে’ বলতে কোথাকার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: অন্য দেশগুলির।

84. “ইতিহাসের পদটা খোঁড়া হয়েই থাকে”- কেন?
উত্তর: ছন্দ মেলে না বলে।

85. খিড়কির আনাচে-কানাচে কারা ঘোরাফেরা করে?
উত্তর: ভূতের পেয়াদা।

86. বর্গি কোথায় এল?
উত্তর: দেশে।

87. বুলবুলিরা কীসের ভয়ে হুঁশিয়ারদের কাছে ঘেঁষে না?
উত্তর: প্রায়শ্চিত্তের ভয়ে।

৪৪. “খাজনা দেব কীসে”-এ প্রশ্নের কী উত্তর আসে?
উত্তর: আবু, ইজ্জত, ইমান, বুকের রক্ত দিয়ে।

89. ‘কী সর্বনাশ’ কথাটি ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি আর মাসতুতো-পিসতুতোর দল কীভাবে বলেন?
উত্তর: কানে হাত দিয়ে।

90. “অতএব, হুঁশিয়ারদের প্রতি থেকো।”- শূন্যস্থানের শব্দটি হবে কী?
উত্তর: সতর্ক।

91. “তারাই পবিত্র”- কারা পবিত্র ?
উত্তর: বেহুঁশরা।

92. “হুঁশিয়ার যারা তারাই অশুচি”— এ কথা কেন বলেছেন?
উত্তর: ভূতগ্রস্ত অলস মানুষ যাতে সচেতন প্রাজ্ঞ মানুষের কাছে না আসে তাই একথা বলা হয়েছে।

93. “শ্মশান থেকে মশান থেকে ঝোড়ো হাওয়ায় হা হা করে তার উত্তর আসে।”প্রশ্নের উত্তর কী আসে?
উত্তর: ‘কর্তার ভূত’ নামাঙ্কিত গদ্যাংশ থেকে উক্তিটি উদ্ধৃত হয়েছে। এখানে প্রশ্নের যে উত্তর আসে তা হলো আৰু দিয়ে, ইজ্জত দিয়ে, ইমান দিয়ে, বুকের রক্ত দিয়ে খাজনা মিটিয়ে দিতে হবে।

94. “কী সর্বনাশ।”- সর্বনাশ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: ভূতগ্রস্ত দেশে অনন্তকাল ধরে ভূতের শাসন ব্যবস্থাটাই বহাল থাকবে কি না- এই প্রশ্নটিকেই সর্বনাশ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

95. “নইলে ছন্দ মেলে না”- মেলাতে কোন দু’টি পক্তির উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর: ছন্দ মেলানোর জন্য “খোকা ঘুমোলো পাড়া জুড়ালো” পদের সঙ্গে “বর্গি এল দেশে” পঙক্তি দু’টির উল্লেখ করা হয়েছে।

96. দেশের মানুষ নিশ্চিত হয়েছিল কেন?
উত্তর: ভূতকে মানলে কোনো ভাবনা থাকবে না বলে দেশের মানুষ নিশ্চিত হয়েছিল।